Pages

Sunday, September 01, 2013

সন্তান



প্রচণ্ড ভ্যাপসা একটি গরমের দিনের পড়ন্ত বিকেলে ছাদের আলসের এক কোণায় বসে ছিল অনিন্দিতা। হাওয়া দিচ্ছিল প্রচন্ড। প্রবল বর্ষায় যেমন জলের তোড় ভাসিয়ে দিয়ে যায় সারা শরীর, তেমনই ফুরফুরে দখিনা বাতাস ধুয়ে দিয়ে যাচ্ছিল ওর শরীরটাকে। বড় ভাল লাগছিল ওর। গরমে মেয়েদের ভারী কষ্ট; মেয়েদের শরীর নিয়ে না জন্মালে এ কথা বোঝা সম্ভব না। মাসখানেক আগে অফিস বদলেছে অনিন্দিতা। এটা সেই গড়িয়াহাট-এ, আগেরটার থেকে অনেক বেশী দূরে।

আসা-যাওয়ায় কষ্ট অনেক বেশী। তার ওপর পেট্রল খরচা দিনদিন যে হারে বেড়ে চলেছে, শীতের সময়টা অনিন্দিতা যতটা পারে পাবলিক ট্র্যান্সপোর্টেই মেরে দিতে চায়। যদিও এখন গরমকাল এবং অনিন্দিতা গাড়ীতেই যাতায়াত করছে, তবুও উত্তরশহরতলির এক প্রান্ত থেকে শহরের দক্ষিণপ্রান্তে যাওয়ার ঝক্কিও তো কম নয়, বিশেষতঃ শহরের ট্রাফিকের যা দশা!তাই সারাদিন পরিশ্রমের পর সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরায় মাঝে মাঝে মনে হয় এ হাওয়াটুকুই যেন তাজা রাখে ওকে। পুরানো দিনের কথা মনে করিয়ে দেয়।

বসে বসে চারপাশটা দেখছিল ও, আর ভাবছিল। একটা সময় ছিল যখন অনিন্দিতার মনে হত কলকাতার এই হৈ-হুল্লোড় ছেড়ে দু দিনের বেশী থাকতেই পারবেনা। রাহুলের সাথে এ নিয়ে কম তর্ক হয়েছে অনিন্দিতার? রাহুলের ইচ্ছে ছিল একটু ভিতরের দিকে কোথাও থাকার। মফঃস্বলের ছেলে ও, চিরদিন সবুজ ওর বড় পছন্দের। আজকাল অনিন্দিতারও বড় ভাল লাগে। মনে পড়ে মাঝেমাঝেই ছুটিতে গাড়ি নিয়ে বেড়িয়ে পড়ত রাহুল। উত্তরে জলদাপাড়া, দার্জিলিং; দক্ষিণে সুন্দরবন থেকে পশ্চিমে উপজাতি অধ্যুসিত ঝাড়খন্ড ও বিহারের জঙ্গল কিছুই বাদ দেয়নি। ইস্, মাঝেমাঝেই মনে হয় অনিন্দিতার, হয়তো এখানে এসে বাড়িটা ভাড়া না নিলেই ভাল ছিলরোজরোজ এতদূরে যাওয়া আর ভাললাগেনা মাঝেমাঝেই, কিন্তু করারই বা কি আছে? ভেবেচিন্তেই তো এই সিধ্যান্ত নিয়েছিল অনিন্দিতা, আজকের দিনে দক্ষিণ কলকাতায় দু’জনের থাকার খরচও তো কম নয়!! নিজেকে প্রবোধ দেয় অনিন্দিতা, সব অভ্যাস হয়ে যাবে। যেমন অভ্যাস হয়ে গিয়েছে রাহুলকে ছেড়ে থাকাটা।

অনিন্দিতার মনটা দুলে ওঠে আবার। ভেবেছিল এতদিনে ভুলে গিয়েছে ও। কই না তো, কিচ্ছু ভোলেনি তোকিন্তু কেন ভোলেনি? সাত বছর কি যথেষ্ঠ সময় নয়? এর আগে শেষ কখন মনে পড়েছিল মনে করতে চাইল অনিন্দিতা। কাল রাতে? না না, আজ সকালে, স্কুলে যাওয়ার পথে। ওর মনে পড়ছিল ওর নিজের প্রথম গাড়ী চালান, ওর নরম হাতে ধরা গিয়ারের ওপর দিয়ে দেওয়া রাহুলের শক্ত হাতের তালু। রাহুলই ওকে ড্রাইভিং শিখিয়েছিল। 

এই সময়টা বরাবরই বড় বিপদে পড়ে যায় অনিন্দিতা। এ ক’টা বছরে ও এইটা খুব ভাল করে বুঝেছে যে স্মৃতি বড় দুর্বল জিনিস... ভোলা যায় না, অন্তত জোড় করে তো নয়ই। যতবার চেষ্টা করেছে, ততবারই মনে পড়ে গেছে আরও বেশী বেশী করে। এই যেমন এখন। এক আনকোরা লেখকের বর্ণণা করা কোন দৃশ্যের মত চোখের সামনে ঝাপসা ভেসে ওঠে সেই পুরানো ছবিগুলো। সেই প্রথম-জমানার বায়োস্কোপের মত ও দেখতে পেল অফিস থেকে ফিরেই দু’পাটি জুতো ঘরের দুই কোণায় ফেলে রেখেছে রাহুল আর তা নিয়ে লঙ্কাকাণ্ড বাঁধিয়েছে অনিন্দিতা আর ওদিকে উনি নির্বিকারে নীরবে টিভিতে খেলা দেখেই চলেছেন; দেখল, ও আর রাহুল কোন শীতের এক চট্ করে নামা সন্ধ্যায় অন্ধকারে বসে আছে হাতে হাত দিয়ে,­ কিম্বা কখনও দেখল ওরা দুজনে নিশুতি রাতে হাসপাতালে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে বসে আছে খাটের ধারে ঠেস দিয়ে...ওর চোখের জলে রাহুলের কাধ গেছে ভিজে, কিন্তু রাহুলের চোখের পাতা শুকনো....একটা হাত ওর অনিন্দিতার পেটে, যেন নিজের পৃথিবীতে না আসা সন্তানকে অনুভব করার ব্যর্থ চেষ্টা।

অনিন্দিতার মনে আছে সেই দিনগুলো। মনে আছে পুংখানুপুংখভাবে। তার আগেরদিন সকাল অবধিও কিছু জানা ছিল না। নিজের মাথাব্যথা নিয়ে নিজেরই কোন মাথাব্যাথা ছিল না রাহুলের। এখনও অনিন্দিতার মনে আছে নেহাতই হালকাভাবেই ব্যাপারটাকে নিয়েছিল সে। অফিসে কাজের চাপ ছিল যথেষ্ট। টেনশন এ অনেক সময়েই এরকম হয় বলে কাটিয়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু অনিন্দিতা মেনে নিতে পারেনি। একরকম জোড় করেই নিয়ে গেছিল ডক্টর ঘোষ এর কাছে। প্রায় আধঘন্টা নানাবিধ প্রশ্নের পর রাহুলকে বিভিন্ন টেস্ট করতে দিয়েছিলেন ডক্টর ঘোষঅনিন্দিতার মনে আছে মুহুর্তগুলো কেমন যেন গম্ভীর হয়ে গেছিল, ছোটবেলার চেনা হাসিখুশি ঘোষকাকুকে এতটা গম্ভীর অনিন্দিতা কখনও দেখেনি। জিগ্যেস করতে অবশ্য কোন উত্তর দেননি তিনি। বরং আশা দেখিয়ে কপট রাগে বলেছিলেন, ‘আগে রেজাল্টগুলো আসুক, এখনই কি করে বলি বল্‌তো? অকারণে টেনসন করা অভ্যাস হয়ে গেছে তোদের’কিন্তু অনিন্দিতা তখনই জানত যে something was wrong.



সাতদিন বাদে নতুন হাতে পাওয়া রেজাল্টগুলো নিয়ে ঘোষকাকুর কাছে গিয়েছিল আবার। এরপর আর ঠিক মনে করতে পারেনা অনিন্দিতা। হয়তো সেই স্মৃতিগুলোকে ইচ্ছে করেই যেন চাপা দিয়ে রেখেছে সে। শুধু মনে আছে ডক্টর ঘোষ পাঠিয়েছিলেন এক অঙ্কোলজিস্ট অর্থাৎ ক্যান্সার-বিশেষজ্ঞের কাছে, শুধু ভুলতে চেয়েও ভুলতে পারেনা পরের কটা দিন কাজকর্ম শিকেয় তুলে এক specialty hospital থেকে আরেক super-specialty hospital-এ ঘুরে বেড়িয়ে রাতে একে অপরকে জড়িয়ে নিজের চোখের জলে ওর বুক ভেজানো, পরদিন সকালে সব ভুলে গিয়ে শেষ কটা দিন বিনা-চিন্তায় কাটানোর ব্যর্থ চেষ্টা আর একে অপরের চোখে চোখ রেখে না বলা কথাগুলো ইশারায় বলা।

কেঁদে কেঁদে চোখের জল শুকিয়েছিল অল্প ক’দিনেই। তারপর যথানিয়মে শুরু হল পরিকল্পনা, সারা জীবনের সব সাজানো স্বপ্ন ভেঙ্গে নুতন করে স্বপ্ন তৈরি করার চেষ্টারাহুল খুব মনমরা হয়ে পড়েছিল...নিজের জন্য না, সেদিক থেকে বরাবরই শক্ত ছিল ওকিন্তু ইচ্ছে ছিল নিজের সন্তানকে দেখে যাবে, সেটা হবে না হয়ত আর। ডাক্তার বলেছিলেন মোটামুটি মাস ছয়েক সময় আছে রাহুলের, কেমোথেরাপিতে কাজ দিলে আরও বড়জোর মাস তিনেক বেশী তবু অনিন্দিতা বলেছিল ওরা চেষ্টা করবে। রাহুল আপত্তি জানিয়েছিল কঠিনভাবে। আজকের দিনে একা সন্তান মানুষ করাটা যে কতটা কঠিন সেটা বোঝানোর চেষ্টা করেছিল। তাছাড়া একটা জিনগত ঝুঁকিও তো থাকে। সবই বুঝত অনিন্দিতা, কিন্তু বুঝেও কোনকিছুই মানতে চায়নি সে। রিসার্চ করে, ওদের গাইনোকোলজিস্ট আর অঙ্কোলজিস্টের সাথে কথা বলে বার করেছিল যে জিনগত ঝুঁকির সম্ভাবনা কেবল পাঁচ শতাংশ মাত্র, মানে প্র্যাকটিকালি বলতে গেলে নেই বললেই চলে। তাছাড়া রাহুল যখন থাকবেই না, তার একটা স্মৃতি নিজের জন্য শেষ উপহার হিসেবে চেয়ে নিয়েছিল সে। এরপর আর কি করে মানা করে রাহুল। অতএব, বিয়ের আগে যেটা ভেবেছিল বছর তিনেক পড়ে হবে, সময়ের অভাবে তা এখনই শুরু করতে হল।

কিন্তু মানুষে ভাবে এক, হয় আরেক। এর থেকেও বেশী দুর্দশা যে ওদের কপালে লেখা থাকতে পারে সেটা ওদের কেউই ভাবতে পারেনি। অজস্র চেষ্টার পরেও অনিন্দিতা সন্তানসম্ভবা হতে পারলনা। সেই দিনগুলো যেন আরও ভুলতে পারেনা সে। একের পর এক গাইনোকোলজিস্ট-এর কাছে দৌড়েছে ওরা। সকলেই বলেছে যে কোন অসুবিধা নেই দু’জনের কারোরই। বলেছে একটু সময় দিতে। কিন্তু ‘সময়’-টারই তো অভাব। মনে আছে সেসময়ে তাই বিকেলের পর বিকেল কেঁদে ভাসিয়েছে অনিন্দিতা, মনে মনে ভেবেছে এমন কি পাপ ও করেছে যে একটুকরো শেষ আশাও তার পুর্ণ হয় না। আবার পরমুহুর্তেই নিজেকে শক্ত করেছে। এসব কি ভাবছে সে, সে না এক উচ্চশিক্ষিতা মহিলা! তাছাড়া রাহুল যে কখনই ওকে দোষ দেয়নি। ও যদি নিজের এই অবস্থায় শক্ত থাকতে পারে, অনিন্দিতা কি পারবে না? পুরোনো কথা মনে পড়ে ওর। কলেজে থাকাকালীন পাল্লা দিয়ে দু’জনের মিটিং-মিছিল করার কথা, প্রথম দিনগুলোতে ঝগড়ার পরে পাল্লা দিয়ে একে অপরকে পাত্তা না দিয়ে রাগ দেখানোর কথা। সেই দিনই কি ফিরে আসল? হঠাৎই ঘড়ির কাঁটার দিকে চোখ পড়ে যায় ওরনা, রাহুলকে নিজের এই চেহারা দেখানো যাবে না। ওর মুখটা দেখেই তো এখনও বেঁচে আছে সে। ওর অফিস্‌ থেকে ফেরার সময় হয়ে গেছে দেখে নিজের চোখ মুছে আয়নায় গিয়ে বসেছে অনিন্দিতা
 
সময় কমে আসছিল ওদের। কেমোথেরাপি আর অসুখের ধকলে রাহুলের শরীর ক্রমশ খারাপ থেকে আরও খারাপ হয়ে উঠছিল। ওরা দুজনেই জানত যে হাসপাতালে একবার গেলে আর বাড়ী ফিরবেনা রাহুল। তবুও একসময় ওকে পাকাপাকিভাবে হাসপাতালে ভর্তি হতেই হল, যদিও ডাক্তারের কথামত অনেক আগেই সেটা উচিত ছিল। কিন্তু রাহুলই শোনেনি ওর কথায়, আজ বা দু’দিন পরে...যদি মরতেই হয় তো বাড়িতে বসেই... কথাটা শেষ করতে দিত না অনিন্দিতা, মুখ চেপে ধরত রাহুলের। নিজের ঠোঁট দু’টো ছোওয়া অনিন্দিতার হাতের নরম আঙ্গুলগুলিতে আল্‌তো চুমু খেত, অনিন্দিতার চোখ দুটো বন্ধ হয়ে আসত, আর খুললেই দেখা যেত ওর চোখের কোণে জলবিন্দু।

শেষ একটা মাস যখন রাহুল হাসপাতালে বন্দী ছিল, বন্দী ছিল প্রায় অনিন্দিতাও। মনে আছে রাহুল পইপই করে ওকে বুঝিয়েছিল ওর ব্যাঙ্ক একাউন্ট এর বিশদ বিবরণ, বুঝিয়েছিল নিজের প্রভিডেন্ট ফান্ড ও অন্যান্য জমার খাতার হিসেব। অনিন্দিতা শুনতে চায়নি। এগুলো মন দিয়ে শোনা মানে যেন নিয়তিকে মাথা নিচু করে মেনে নেওয়া। সেটা ও চায়নি। কিন্তু করারই বা কি ছিল। যত সময় এগিয়ে আসছিল, ওরা নিজেরাও শেষের দিকে ভাল বুঝতে পারছিল। কোন গ্রীক দেবতার মত সুপুরুষ রাহুলের চেহারাটা কি বিভৎস হয়ে উঠছিল। ডাক্তারকে আর রোজ রোজ আর জিজ্ঞাসা করার দরকার ছিল না সময় যে এগিয়ে আসছে তা বোঝার জন্যরাহুলও কেমন যেন হয়ে যাচ্ছিল। যখন-তখন নিজের জামা-কাপড় ভিজিয়ে ফেলত, ঘন্টার পর ঘন্টা অনন্দিতা পাশে বসে থাকা সত্ত্বেও জানলা দিয়ে চুপচাপ বাইরে তাকিয়ে থাকত, মাঝে-মাঝেই হঠাৎ এমন কিছু বলে বসত যার কোন মানেই হয় না। অজস্র লোকের আসা-যাওয়া আর কুড়িয়ে পাওয়া আসল বা নকল স্বান্ত্বনার মাঝে যতটুকু সময় পাওয়া যেত, হাতে হাত দিয়ে এক কঙ্কালসার রাহুলের পাশে ওর খাটে না খেয়ে না দেয়ে বসে থাকত অনিন্দিতা; আর কাঁদতআর করার-ই বা কি ছিল! শেষের দিকে মাথাটা ঘুরিয়ে উঠত ওর নিজেরও, খালি বমি হত, কেমন ভারী ভারী লাগত নিজেকে। নিজের শরীরটা নিজেরই অচেনা লাগত অনিন্দিতার। পাত্তা দেয়নি ও-ও...খুব একটা পাত্তা দিতে ইচ্ছেও করত না। ও তো জানত, যে জীবনটা একা রাহুলেরই শেষ হয়ে যাচ্ছে না। কি নিয়ে আর থাকবে সে। বাঁচার সামান্য ইচ্ছাটুকুও খুঁজে পাচ্ছিলনাএকটা অকারণ অপরাধবোধ আসত নিজের মধ্যে যার কারণ সে নিজেও বুঝতে করতে পারত না। হয়ত বেঁচে থাকারই অপরাধবোধ এটা। একমাত্র রাহুলকে দেখেই যেন চলছিল ওর, কিন্তু সে-ও বা আর ক’দিন!

*

দরজার শব্দে চমক ভাঙ্গল অনিন্দিতার। সময় হয়ে গেল নাকি? ক’টা বাজে? নাকি আজ তাড়াতাড়ি ফিরল? একছুট্টে নিচে চলে যায় অনিন্দিতাদরজার সামনে একপাটি জুতো পড়ে আছে। আরেকপাটি নিশ্চয়ই সোফার নিচে। ঠিক যেভাবে রাহুল জুতো খুলত। ঠোঁটের কোণে একটুকরো হাসি ছড়িয়ে গেল অনিন্দিতার। উফ্‌ আর পারা যায় না...যেমন বাবা, ছেলেও হয়েছে তেমনিই।

‘রাহুল...’, নিজের গলা তিনধাপ ওপরে চড়িয়ে চেঁচাল অনিন্দিতা, ‘জামা-কাপড় খোল আগে, তারপর টিভি...।’

                            *   



সেই দিনটা কখনও ভুলবে না অনিন্দিতা। ক্যাওড়াতলার ইলেকট্রিক চুল্লীর সামনে দাঁড়িয়ে সে অনেক ভীড়ের মাঝে। ওর শরীরটা অনিন্দিতার চোখের সামনে ঢুকে গেল ভিতরে। ওর চোখ লাল। কিন্তু মনে একটুমাত্র আনন্দের রেশ। ঠিক শেষ মুহুর্তে একটুর জন্য জ্ঞান ফিরেছিল রাহুলের। সে জেনে গেছে যে ওর শরীরের ভিতরে রয়ে গেছে রাহুলের শেষ স্মৃতি, ওদের ভালবাসার সর্বোচ্চ প্রমাণ...ওদের সন্তান।

************************
If you have read this far, please comment on the box below to let me know did I do. It takes only about 30 second.
ANY suggestion is welcome. Thanks in advance. Your time is my inspiration.

No comments:

Post a Comment

Welcome to my blog 'Obscure Theories'. This is a multilingual blog (Bengali and English) mainly for my creative literary ventures. I am one for believing that only criticism can bring improvement. So it would be great to hear from you if you like something. But it'll be way better to hear what you didn't like. Thanks again and enjoy your stay.