Obscure Theories
Friday, May 23, 2014
Thursday, September 12, 2013
পৌরুষ
হাজার
স্বপ্নের রক্তপাত,
আর
মনের মধ্যে তেপান্তর,
আমার
কালো-কালো প্রশ্নগুলোর
আমার
চিন্তা ফ্যাকাশে-ধুসর,
আর
হলুদ সিগনাল দীর্ঘক্ষণ,
আমার
হাতে কাঁটা-মরুভূমি --
আর
সম্ভব হচ্ছে অসম্ভব।
সস্তা হোটেল, ডব্ল্ রুম
মিথ্যে
প্রেমের গভীর তত্ত্ব,
আমি
ক্লান্ত দেহে, ঘামে ভিজে
শ্রাদ্ধ
করছি পৌরষত্ব।
আমার
ভালবাসার গোপন স্বত্ব
খুঁজছি
একটু importance,
আমি
চাইছি ভুলতে, মুছে ফেলতে
নোংরা
আমার past
tense।
Originally Written:
21st August, 2012
This may not be my best work, but this was written as a song lyrics (to be accompanied by very dark music). It's also one of the very first songs I've written. Maybe someday it will be sung, but the time has not come yet. If you've read this far, please post your valuable comments below. It takes less than 10 seconds. All thoughts and suggestions are welcome. You can also help more by sharing it in facebook by clicking the link further below.
This may not be my best work, but this was written as a song lyrics (to be accompanied by very dark music). It's also one of the very first songs I've written. Maybe someday it will be sung, but the time has not come yet. If you've read this far, please post your valuable comments below. It takes less than 10 seconds. All thoughts and suggestions are welcome. You can also help more by sharing it in facebook by clicking the link further below.
Labels:
Adult,
Bengali,
Bengali Poems,
Death,
Dhoya,
Kalo,
Obscene,
past tense,
Poems,
Pourush,
বাংলা
Location:
Bangalore, Karnataka, India
Sunday, September 01, 2013
সন্তান
প্রচণ্ড ভ্যাপসা একটি গরমের দিনের পড়ন্ত বিকেলে ছাদের আলসের এক কোণায় বসে ছিল
অনিন্দিতা। হাওয়া দিচ্ছিল প্রচন্ড। প্রবল বর্ষায় যেমন জলের তোড় ভাসিয়ে দিয়ে যায়
সারা শরীর, তেমনই ফুরফুরে দখিনা বাতাস ধুয়ে দিয়ে যাচ্ছিল ওর শরীরটাকে। বড় ভাল
লাগছিল ওর। গরমে মেয়েদের ভারী কষ্ট; মেয়েদের শরীর নিয়ে না জন্মালে এ কথা বোঝা
সম্ভব না। মাসখানেক আগে অফিস বদলেছে অনিন্দিতা। এটা সেই গড়িয়াহাট-এ, আগেরটার থেকে
অনেক বেশী দূরে।
আসা-যাওয়ায় কষ্ট অনেক বেশী। তার ওপর পেট্রল খরচা দিনদিন যে হারে
বেড়ে চলেছে, শীতের সময়টা অনিন্দিতা যতটা পারে পাবলিক ট্র্যান্সপোর্টেই মেরে দিতে
চায়। যদিও এখন গরমকাল এবং অনিন্দিতা গাড়ীতেই যাতায়াত করছে, তবুও উত্তরশহরতলির এক
প্রান্ত থেকে শহরের দক্ষিণপ্রান্তে যাওয়ার ঝক্কিও তো কম নয়, বিশেষতঃ শহরের
ট্রাফিকের যা দশা!তাই সারাদিন পরিশ্রমের পর সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরায় মাঝে মাঝে মনে হয়
এ হাওয়াটুকুই যেন তাজা রাখে ওকে। পুরানো দিনের কথা মনে করিয়ে দেয়।
বসে বসে চারপাশটা দেখছিল ও, আর ভাবছিল। একটা সময়
ছিল যখন অনিন্দিতার মনে হত কলকাতার এই হৈ-হুল্লোড় ছেড়ে দু দিনের বেশী থাকতেই
পারবেনা। রাহুলের সাথে এ নিয়ে কম তর্ক হয়েছে অনিন্দিতার? রাহুলের ইচ্ছে ছিল একটু
ভিতরের দিকে কোথাও থাকার। মফঃস্বলের ছেলে ও, চিরদিনই সবুজ ওর বড়
পছন্দের। আজকাল অনিন্দিতারও বড় ভাল লাগে। মনে পড়ে মাঝেমাঝেই ছুটিতে গাড়ি নিয়ে
বেড়িয়ে পড়ত রাহুল। উত্তরে জলদাপাড়া, দার্জিলিং; দক্ষিণে সুন্দরবন থেকে পশ্চিমে
উপজাতি অধ্যুসিত ঝাড়খন্ড ও বিহারের জঙ্গল কিছুই বাদ দেয়নি। ইস্, মাঝেমাঝেই মনে হয়
অনিন্দিতার, হয়তো এখানে এসে বাড়িটা ভাড়া না নিলেই ভাল ছিল। রোজরোজ
এতদূরে যাওয়া আর ভাললাগেনা মাঝেমাঝেই, কিন্তু করারই বা কি আছে? ভেবেচিন্তেই তো এই
সিধ্যান্ত নিয়েছিল অনিন্দিতা, আজকের দিনে দক্ষিণ কলকাতায় দু’জনের থাকার খরচও তো কম
নয়!! নিজেকে প্রবোধ দেয় অনিন্দিতা, সব অভ্যাস হয়ে যাবে। যেমন অভ্যাস হয়ে গিয়েছে
রাহুলকে ছেড়ে থাকাটা।
অনিন্দিতার মনটা দুলে ওঠে আবার। ভেবেছিল এতদিনে ভুলে
গিয়েছে ও। কই না তো, কিচ্ছু ভোলেনি তো। কিন্তু কেন ভোলেনি? সাত বছর কি
যথেষ্ঠ সময় নয়? এর আগে শেষ কখন মনে পড়েছিল মনে করতে চাইল অনিন্দিতা। কাল রাতে? না
না, আজ সকালে, স্কুলে যাওয়ার পথে। ওর মনে পড়ছিল ওর নিজের প্রথম গাড়ী চালান, ওর নরম
হাতে ধরা গিয়ারের ওপর দিয়ে দেওয়া রাহুলের শক্ত হাতের তালু। রাহুলই ওকে ড্রাইভিং শিখিয়েছিল।
এই সময়টা বরাবরই বড় বিপদে পড়ে যায় অনিন্দিতা। এ ক’টা
বছরে ও এইটা খুব ভাল করে বুঝেছে যে স্মৃতি বড় দুর্বল জিনিস... ভোলা যায় না,
অন্তত জোড় করে তো নয়ই। যতবার চেষ্টা করেছে, ততবারই মনে পড়ে গেছে আরও বেশী বেশী
করে। এই যেমন এখন। এক আনকোরা লেখকের বর্ণণা করা কোন দৃশ্যের মত চোখের সামনে ঝাপসা
ভেসে ওঠে সেই পুরানো ছবিগুলো। সেই প্রথম-জমানার বায়োস্কোপের মত ও দেখতে পেল অফিস
থেকে ফিরেই দু’পাটি জুতো ঘরের দুই কোণায় ফেলে রেখেছে রাহুল আর তা নিয়ে লঙ্কাকাণ্ড
বাঁধিয়েছে অনিন্দিতা আর ওদিকে উনি নির্বিকারে নীরবে টিভিতে খেলা দেখেই চলেছেন;
দেখল, ও আর রাহুল কোন শীতের এক চট্ করে নামা সন্ধ্যায় অন্ধকারে বসে আছে হাতে হাত
দিয়ে, কিম্বা কখনও দেখল ওরা দুজনে নিশুতি রাতে হাসপাতালে একে অপরকে জড়িয়ে ধরে বসে
আছে খাটের ধারে ঠেস দিয়ে...ওর চোখের জলে রাহুলের কাধ গেছে
ভিজে, কিন্তু রাহুলের চোখের পাতা শুকনো....একটা হাত ওর অনিন্দিতার পেটে, যেন
নিজের পৃথিবীতে না আসা সন্তানকে অনুভব করার ব্যর্থ চেষ্টা।
অনিন্দিতার মনে আছে সেই দিনগুলো। মনে আছে
পুংখানুপুংখভাবে। তার আগেরদিন সকাল অবধিও কিছু জানা ছিল না। নিজের মাথাব্যথা নিয়ে
নিজেরই কোন মাথাব্যাথা ছিল না রাহুলের। এখনও অনিন্দিতার মনে আছে নেহাতই হালকাভাবেই
ব্যাপারটাকে নিয়েছিল সে। অফিসে কাজের চাপ ছিল যথেষ্ট। টেনশন এ অনেক সময়েই এরকম হয়
বলে কাটিয়ে দিতে চেয়েছিল। কিন্তু অনিন্দিতা মেনে নিতে পারেনি। একরকম জোড় করেই নিয়ে
গেছিল ডক্টর ঘোষ এর কাছে। প্রায় আধঘন্টা নানাবিধ প্রশ্নের পর রাহুলকে বিভিন্ন টেস্ট
করতে দিয়েছিলেন ডক্টর ঘোষ। অনিন্দিতার মনে আছে মুহুর্তগুলো কেমন
যেন গম্ভীর হয়ে গেছিল, ছোটবেলার চেনা হাসিখুশি ঘোষকাকুকে এতটা গম্ভীর অনিন্দিতা
কখনও দেখেনি। জিগ্যেস করতে অবশ্য কোন উত্তর দেননি তিনি। বরং আশা দেখিয়ে কপট রাগে বলেছিলেন,
‘আগে রেজাল্টগুলো আসুক, এখনই কি করে বলি বল্তো? অকারণে টেনসন করা অভ্যাস হয়ে গেছে তোদের’। কিন্তু অনিন্দিতা তখনই জানত যে something was wrong.
সাতদিন বাদে নতুন হাতে পাওয়া রেজাল্টগুলো নিয়ে ঘোষকাকুর কাছে গিয়েছিল
আবার। এরপর আর ঠিক মনে করতে পারেনা অনিন্দিতা। হয়তো সেই স্মৃতিগুলোকে
ইচ্ছে করেই যেন চাপা দিয়ে রেখেছে সে। শুধু মনে আছে ডক্টর ঘোষ পাঠিয়েছিলেন এক অঙ্কোলজিস্ট অর্থাৎ ক্যান্সার-বিশেষজ্ঞের কাছে, শুধু ভুলতে চেয়েও ভুলতে পারেনা পরের
কটা দিন কাজকর্ম শিকেয় তুলে এক specialty
hospital থেকে
আরেক super-specialty hospital-এ ঘুরে বেড়িয়ে রাতে একে অপরকে জড়িয়ে নিজের চোখের জলে ওর বুক ভেজানো, পরদিন সকালে সব ভুলে
গিয়ে শেষ কটা দিন বিনা-চিন্তায় কাটানোর ব্যর্থ চেষ্টা আর একে অপরের চোখে চোখ রেখে না বলা
কথাগুলো ইশারায় বলা।
কেঁদে কেঁদে চোখের জল শুকিয়েছিল অল্প ক’দিনেই। তারপর যথানিয়মে শুরু হল
পরিকল্পনা, সারা জীবনের সব সাজানো
স্বপ্ন ভেঙ্গে নুতন করে স্বপ্ন তৈরি করার চেষ্টা। রাহুল খুব মনমরা হয়ে পড়েছিল...নিজের জন্য না, সেদিক থেকে
বরাবরই শক্ত ছিল ও। কিন্তু ইচ্ছে ছিল নিজের
সন্তানকে দেখে যাবে, সেটা হবে না হয়ত আর। ডাক্তার বলেছিলেন মোটামুটি মাস ছয়েক সময়
আছে রাহুলের, কেমোথেরাপিতে কাজ দিলে আরও বড়জোর মাস তিনেক বেশী। তবু অনিন্দিতা বলেছিল ওরা চেষ্টা করবে। রাহুল
আপত্তি জানিয়েছিল কঠিনভাবে। আজকের দিনে একা সন্তান মানুষ করাটা যে কতটা কঠিন সেটা
বোঝানোর চেষ্টা করেছিল। তাছাড়া একটা জিনগত ঝুঁকিও তো থাকে। সবই বুঝত অনিন্দিতা, কিন্তু
বুঝেও কোনকিছুই মানতে চায়নি সে। রিসার্চ করে, ওদের গাইনোকোলজিস্ট আর অঙ্কোলজিস্টের
সাথে কথা বলে বার করেছিল যে জিনগত ঝুঁকির সম্ভাবনা কেবল পাঁচ শতাংশ মাত্র, মানে প্র্যাকটিকালি বলতে গেলে নেই বললেই চলে। তাছাড়া রাহুল যখন থাকবেই না, তার একটা স্মৃতি নিজের জন্য শেষ
উপহার হিসেবে চেয়ে নিয়েছিল সে। এরপর আর কি
করে মানা করে রাহুল। অতএব, বিয়ের আগে যেটা ভেবেছিল বছর তিনেক পড়ে হবে, সময়ের অভাবে
তা এখনই শুরু করতে হল।
কিন্তু মানুষে ভাবে
এক, হয় আরেক। এর থেকেও বেশী দুর্দশা যে ওদের কপালে লেখা থাকতে পারে সেটা ওদের কেউই
ভাবতে পারেনি। অজস্র চেষ্টার পরেও অনিন্দিতা সন্তানসম্ভবা হতে পারলনা। সেই দিনগুলো যেন আরও ভুলতে পারেনা সে। একের পর
এক গাইনোকোলজিস্ট-এর কাছে দৌড়েছে ওরা। সকলেই বলেছে যে কোন অসুবিধা নেই দু’জনের কারোরই। বলেছে
একটু সময় দিতে। কিন্তু ‘সময়’-টারই তো অভাব। মনে আছে সেসময়ে তাই বিকেলের পর বিকেল কেঁদে ভাসিয়েছে অনিন্দিতা, মনে মনে ভেবেছে এমন কি পাপ ও
করেছে যে একটুকরো শেষ আশাও তার পুর্ণ হয় না। আবার পরমুহুর্তেই নিজেকে শক্ত করেছে।
এসব কি ভাবছে সে, সে না এক উচ্চশিক্ষিতা মহিলা! তাছাড়া রাহুল যে কখনই ওকে দোষ দেয়নি।
ও যদি নিজের এই অবস্থায় শক্ত থাকতে পারে, অনিন্দিতা কি পারবে না? পুরোনো কথা মনে
পড়ে ওর। কলেজে থাকাকালীন পাল্লা দিয়ে দু’জনের মিটিং-মিছিল করার কথা, প্রথম
দিনগুলোতে ঝগড়ার পরে পাল্লা দিয়ে একে অপরকে পাত্তা না দিয়ে রাগ দেখানোর কথা। সেই
দিনই কি ফিরে আসল? হঠাৎই ঘড়ির কাঁটার দিকে চোখ পড়ে যায় ওর। না, রাহুলকে
নিজের এই চেহারা দেখানো যাবে না। ওর মুখটা দেখেই তো এখনও বেঁচে আছে সে। ওর অফিস্
থেকে ফেরার সময় হয়ে গেছে দেখে নিজের চোখ মুছে আয়নায় গিয়ে বসেছে অনিন্দিতা।
সময় কমে আসছিল ওদের। কেমোথেরাপি আর অসুখের ধকলে রাহুলের শরীর ক্রমশ খারাপ থেকে আরও খারাপ হয়ে উঠছিল। ওরা
দুজনেই জানত যে হাসপাতালে একবার গেলে আর বাড়ী ফিরবেনা রাহুল। তবুও একসময় ওকে পাকাপাকিভাবে হাসপাতালে ভর্তি হতেই হল, যদিও ডাক্তারের কথামত অনেক আগেই সেটা উচিত ছিল।
কিন্তু রাহুলই শোনেনি। ওর কথায়, আজ বা দু’দিন
পরে...যদি মরতেই হয় তো বাড়িতে বসেই... কথাটা শেষ করতে দিত না অনিন্দিতা, মুখ চেপে ধরত রাহুলের। নিজের ঠোঁট দু’টো ছোওয়া অনিন্দিতার হাতের
নরম আঙ্গুলগুলিতে আল্তো চুমু খেত, অনিন্দিতার চোখ দুটো বন্ধ হয়ে আসত, আর খুললেই
দেখা যেত ওর চোখের কোণে জলবিন্দু।
শেষ একটা মাস যখন রাহুল হাসপাতালে বন্দী ছিল, বন্দী ছিল
প্রায় অনিন্দিতাও। মনে আছে রাহুল পইপই করে ওকে বুঝিয়েছিল ওর
ব্যাঙ্ক একাউন্ট এর বিশদ বিবরণ, বুঝিয়েছিল নিজের প্রভিডেন্ট ফান্ড ও
অন্যান্য জমার খাতার হিসেব। অনিন্দিতা শুনতে চায়নি। এগুলো মন দিয়ে শোনা মানে যেন
নিয়তিকে মাথা নিচু করে মেনে নেওয়া। সেটা ও চায়নি। কিন্তু করারই বা কি ছিল। যত সময় এগিয়ে আসছিল, ওরা নিজেরাও শেষের দিকে ভাল বুঝতে পারছিল। কোন গ্রীক
দেবতার মত সুপুরুষ রাহুলের চেহারাটা কি বিভৎস হয়ে উঠছিল। ডাক্তারকে আর রোজ রোজ আর
জিজ্ঞাসা করার দরকার ছিল না সময় যে এগিয়ে আসছে তা বোঝার জন্য। রাহুলও কেমন
যেন হয়ে যাচ্ছিল। যখন-তখন নিজের জামা-কাপড় ভিজিয়ে ফেলত, ঘন্টার পর ঘন্টা অনন্দিতা
পাশে বসে থাকা সত্ত্বেও জানলা দিয়ে চুপচাপ বাইরে তাকিয়ে থাকত, মাঝে-মাঝেই হঠাৎ এমন
কিছু বলে বসত যার কোন মানেই হয় না। অজস্র লোকের আসা-যাওয়া আর কুড়িয়ে পাওয়া আসল বা
নকল স্বান্ত্বনার মাঝে যতটুকু সময় পাওয়া যেত, হাতে হাত দিয়ে এক কঙ্কালসার রাহুলের
পাশে ওর খাটে না খেয়ে না দেয়ে বসে থাকত অনিন্দিতা; আর কাঁদত। আর করার-ই
বা কি ছিল! শেষের দিকে মাথাটা ঘুরিয়ে উঠত ওর নিজেরও, খালি বমি হত, কেমন ভারী ভারী
লাগত নিজেকে। নিজের শরীরটা নিজেরই অচেনা লাগত অনিন্দিতার। পাত্তা দেয়নি ও-ও...খুব
একটা পাত্তা দিতে ইচ্ছেও করত না। ও তো জানত, যে জীবনটা একা রাহুলেরই শেষ হয়ে
যাচ্ছে না। কি নিয়ে আর থাকবে সে। বাঁচার সামান্য ইচ্ছাটুকুও খুঁজে পাচ্ছিলনা। একটা অকারণ
অপরাধবোধ আসত নিজের মধ্যে যার কারণ সে নিজেও বুঝতে করতে পারত না। হয়ত বেঁচে থাকারই অপরাধবোধ এটা। একমাত্র রাহুলকে দেখেই যেন
চলছিল ওর, কিন্তু সে-ও বা আর ক’দিন!
*
দরজার শব্দে চমক ভাঙ্গল অনিন্দিতার। সময় হয়ে গেল নাকি? ক’টা বাজে? নাকি আজ তাড়াতাড়ি ফিরল? একছুট্টে
নিচে চলে যায় অনিন্দিতা। দরজার সামনে একপাটি জুতো পড়ে আছে। আরেকপাটি নিশ্চয়ই সোফার
নিচে। ঠিক যেভাবে রাহুল জুতো খুলত। ঠোঁটের কোণে একটুকরো হাসি ছড়িয়ে গেল
অনিন্দিতার। উফ্ আর পারা যায় না...যেমন বাবা, ছেলেও হয়েছে তেমনিই।
‘রাহুল...’, নিজের গলা তিনধাপ ওপরে চড়িয়ে চেঁচাল
অনিন্দিতা, ‘জামা-কাপড় খোল আগে, তারপর টিভি...।’
*
সেই দিনটা কখনও ভুলবে না অনিন্দিতা। ক্যাওড়াতলার ইলেকট্রিক চুল্লীর সামনে দাঁড়িয়ে
সে অনেক ভীড়ের মাঝে। ওর শরীরটা অনিন্দিতার চোখের সামনে ঢুকে গেল ভিতরে। ওর চোখ
লাল। কিন্তু মনে একটুমাত্র আনন্দের রেশ। ঠিক শেষ মুহুর্তে একটুর জন্য জ্ঞান
ফিরেছিল রাহুলের। সে জেনে গেছে যে ওর শরীরের ভিতরে রয়ে গেছে রাহুলের শেষ স্মৃতি,
ওদের ভালবাসার সর্বোচ্চ প্রমাণ...ওদের সন্তান।
************************
If you have read this far, please comment on the box below to let me know did I do. It takes only about 30 second.
ANY suggestion is welcome. Thanks in advance. Your time is my inspiration.
ANY suggestion is welcome. Thanks in advance. Your time is my inspiration.
Location:
Bangalore, Karnataka, India
Friday, August 23, 2013
The Accident
Mr. Chowdhary was still in shock. The last-moment-shriek of the poor girl was still all over his ears; the girl who had just been run over by a truck in front of Mr. Chowdhary's very eyes. She was young, around 18, lying on the road covered with blood and nearing her death very fast. It was pouring cats and dogs in the deserted street-corner of Kolkata. The cloudy sky of dusk, the blinding rain and lightning, along with the cold wind from the nearby Ganga river made sure that nobody was out on the streets. What the hell was she doing out here in the cold and dark, thought Mr. Chowdhary, as he looked left and right, as far as his 42-year old eyes would allow him. The place was deserted. He was at the end of his wit.
It was the year of 2097. The third world war had just ended a dozen years ago, reducing the population of the world by more than 70%. During the war, Mr. Chowdhary, a professional surgeon and one of the very best in his area, had protected his family with great caution, presence of mind and in a number of occasions, by sheer luck. When the war ended, he was somehow able to get a job with the new government; a single government which now ruled the entire world, sub-divided into different regions but not countries. Post-war, it was celebrated by a large number of people united by common grief and loss to be ruled under a centralized government. They were perceived to unify the entire human race once again in all its glory. And the government was doing an arguably good job too, although things have not been easy. Among other challenges, there was a severe need for cleaning the debris of war and building new materials out of the necropolis. These required a huge workforce – a resource which proved to be difficult thanks to the giant recent reduction in human population. The government had to take steps such as making it mandatory to have more than three children per married couple. It was theorized that it would result in a 10% increase in the population rate compared to the current one. But even with that, it would have taken roughly a hundred and fifty years to take human civilization to the state it was before the war. As a fast-track way to increase population overnight, three years ago the new government had passed a worldwide law banning homosexuality. New rulings were made ordering anyone who claims and/or proves to be homosexual, has to go through a six-month recovery program, which claims to induce heterosexuality to anyone who goes through it. Nobody knew exactly how they achieved this but there were rumours; rumours which made Mr. Chowdhary to hope to be untrue, especially since this morning.
The father of two children, Mr. Chowdhary was successfully able to protect his family during the war until now, but it seemed that was not possible anymore…not for long at least. Though he had suspected this for a long time, only this morning he had come to know for sure that his elder daughter Nandita was a lesbian. As she knelt beside him and explained all about it to her father, Mr. Chowdhary knew that very moment that it was over for her. As much caution as he could take, the police of the new regime was sure to find the secret out and take her daughter away from him…to the so-called recovery program. There was no way to hide her. Over the world homosexuals were being rounded up like some fierce animals. The ruling, supported by some prejudiced religious groups, made it impossible for homosexuals to keep their sexual identity a secret even on a social level. Besides, the new government kept extremely detailed record of the families and it was well documented that he had two daughters. And even if he could somehow hide Nandita’s sexuality from the world at large, the new law also demanded any female over 18 is to be either married to a male or to be proved pregnant within a year of turning 18. Having turned 18 only last month, it was only a matter of time for her. The news and the conclusion had upset Mr. Chowdhary so much that he came out for a walk in the evening, alone by the river, smoking his favourite pipe. When it had started to rain and he thought of returning home, he suddenly heard angry honking of a truck, a sudden screeching noise of the tyres, some high pitched girly shriek and before he knew it, he was kneeling beside a dying young lady and the truck was vanishing into nothing over a distance.
Mr. Chowdhary knew he should hurry the girl to the nearest hospital and to call her parents if possible and then maybe wait for them at the hospital to arrive. But he did none of those things. He was fighting an idea that was born inside his very head, an idea that came to him almost as soon as he knelt beside the dying girl. He couldn’t get rid of it, although he knew in his heart that it was terrible even to think about it.
It won’t be right, he thought to himself as the girl kept travelling an inch away from life with every passing second, I can't do it. I'm a doctor for god's sake. She tried to raise her right hand and to turn her blood-covered face towards his. But she couldn’t. ‘This is the only solution and you know it’, someone told him from the back of his head, over the sound of the thunder and rain, 'Look at the bright side. The girl is going to be dead anyway. And once she is, we can curve the face to make it unrecognizable so that you can declare her to be your dead daughter, causing them to delete every official record of her. And you and your daughter would live a happy life'. Mr. Chowdhary kept silent, lost in his own thought, as he ran his palm through the little girl’s hair; consoling her. He wanted to tell her not to worry and that everything would be fine, that he would take her to the hospital but he couldn't bring himself to say those things. ‘You don’t have to do anything wrong, just don’t do anything at all’, said the voice again, ‘just wait a little more and it’ll soon be over. Then you can do what we decided’. Mr. Chowdhary kept mum even now, clutching his smoking pipe firmly in his right palm. He looked up at the pouring sky and thought of whatever the voice was telling him. He had heard this voice before. He didn’t like it. He hated that it always seemed to be right. He turned his glance at the girl again. It was almost over for her, unless she gets medical attention right now. He didn't even have to be a doctor to say this; anyone would understand that merely by her eyes, which were losing the light fast and steady. She seemed to be having trouble breathing now. She inhaled hard one last time, blinked over the falling raindrops on her eyelids, tried to move her lips, a silent cough came out. No sound followed. She was having a respiratory arrest.
Mr. Chowdhary tried to gather every amount of courage and strength he ever possessed. Not much time left now. He tried hard not to think about the parents of this poor soul. I'll just be taking advantage of a corpse to help save my living daughter’s life, he consoled himself as he slowly put his hand in this pocket and pulled out the old knife he had been carrying for the past twenty years. We are nearly there, he thought. He never had to use this knife before, until today. He looked at her rain-soaked innocent face for a second. He was reminded of Nandita. A lightning sounded very nearby, causing a flash of light across the darkly illuminated skyline. Suddenly he was sure. He knew exactly what he had to do. Slowly, he said his prayers as he stole a quick glance around. Then he leaned over the poor girl.
Having made up his mind once, the rest of the work took about five minutes in the hands of an expert surgeon that Mr. Chowdhary always had been. He quickly cleaned the smoking pipe in his hand with the splashing rain water, he tried to dry and clean it with his cloths as best as he could. He also lit up a match and put the knife to the fire, trying to sterilize it. Then slowly, with artistic genius, he made an incision with his knife in the poor girl's throat, placed the pipe with great caution so that the girl could get a direct airway through her trachea. When he completed the procedure, he placed both his hands on the girl’s chest and started CPR.
He knew that the instruments were not sterilized; there were great chances of infection, but he had done the best he could. 'And as for Nandita', he thought, 'I will fight the world before I let anyone touch her. She will stay where she belongs, being who she really is'. Slowly the girl started showing response; her breathing was becoming easier. A smile broke into Mr. Chowdhary's lips as he picked the girl in his arms and started running towards the hospital by the river, through the muddy wet ground, as fast as he could. He was breathing heavily.
But he felt peaceful.
Location:
Bangalore, Karnataka, India
Tuesday, August 20, 2013
কবিতা নং ৫
দু’ আঙ্গুলের মাঝে ধোঁয়া,
সে ধোঁয়া মিশছে কাগজে
ধোঁয়াটে বাস্তবের প্রভাব
নেশাগ্রস্ত অবচেতনে
জানিনা দু’য়ে দু’য়ে চার হত
কিনা
কিংবা ভবিষ্যতে হবে কি?
জানিনা তোর প্রথম ভালবাসা
কখনও তোর হবে কি!
শুধু জানি এ রাত হয়তো কাটবে
না
হয়তো দেখব না জানলায় সকালের
আলো,
হয়তো এ ঘুম আর ভাঙবে না
কোনদিনও
সাক্ষ্য দেবে আমার চেরা
মৃতদেহ কালো।
Seems there are a lot of hits in my Blog, particularly for this page. Just one request though friends: If it's not too much of trouble, can you please leave some notes for me in the comment box below...just to let me know how to improve. Commenting is easy and fast. Thank you all, guys. Please keep coming back
Seems there are a lot of hits in my Blog, particularly for this page. Just one request though friends: If it's not too much of trouble, can you please leave some notes for me in the comment box below...just to let me know how to improve. Commenting is easy and fast. Thank you all, guys. Please keep coming back
Location:
Bangalore, Karnataka, India
Subscribe to:
Posts (Atom)